শরীর ফিট রাখতে করনীয় কি?
নিম্নলিখিতগুলি করলে আপনি নিশ্চিত হতে পারেন যে আপনার শরীর ফিট থাকবে।
শরীরকে সুস্থ রাখতে প্রথমেই স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলতে হবে যেমন তাজা শাকসবজি, কম তেল ও কম মশলা দিয়ে ঘরে রান্না করা খাবার। এ ছাড়া প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট শারীরিক ব্যায়াম করতে হবে।
বাইরে যাওয়ার সময় কখনোই চকলেট, চিপস, বার্গার, হটডগ ইত্যাদি খাবেন না। ক্ষুধা লাগলে বাদাম, বাদাম, কাজু, আখরোট, ফ্ল্যাক্সসিড খেতে পারেন। আপনি হয়ত ভাবতে পারেন যে এগুলো দামি খাবার, কিন্তু চিন্তা করুন, আপনি যখন নাস্তায় বারবার খাচ্ছেন তখন এর চেয়ে বেশি খরচ করছেন।
টিভি দেখার সময় কখনই খাবেন না। আপনি যদি এটি করেন তবে আপনি কতটা খাচ্ছেন তা আপনি লক্ষ্য করবেন না। এতে হেঁচকি হওয়ার সম্ভাবনাও বেশি।
খাওয়ার সময় কাঁচা লবণ বা অতিরিক্ত লবণ খাবেন না। এটি আপনার রক্তচাপ বাড়াতে পারে। প্রায়ই খান কিন্তু অল্প। এতে শরীরে খাবারের ভারসাম্য বজায় থাকবে।
খাওয়ার সময় ভালো করে চিবানোর অভ্যাস গড়ে তুলুন। ফলে খাবারের প্রয়োজনীয় উপাদানগুলো শরীরে প্রবেশ করবে। ফলে গ্যাসের সমস্যা থেকেও মুক্তি মিলবে।
শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম করুন। দিনে 10 মিনিট এই ধরণের ব্যায়াম করলে উদ্বেগের মাত্রা অনেকটাই কমে যাবে। হৃদস্পন্দন স্বাভাবিক থাকবে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে শরীর সুস্থ থাকবে।
খাওয়ার সময় বেশি পানি পান করবেন না, বরং খাওয়ার ১৫ মিনিট আগে বা পরে পানি পান করুন। এতে হজমশক্তি বাড়বে।
খাবার দেখলে অনেকেই খেতে চায়। আর এ কারণে অনেকেই ক্ষুধার্ত না থাকলেও খেতে থাকেন। এই অভ্যাস শরীরের জন্য ভালো নয়। যখন আপনি ক্ষুধার্ত খান।
রান্নাঘরে স্বাস্থ্যকর খাবার রাখুন। প্রক্রিয়াজাত ও প্যাকেটজাত খাবারের পরিবর্তে ফল, সবজি, ডিম, দুগ্ধজাত খাবার রান্নাঘরে রাখুন। এটি কাজের সময় উপকারী খাদ্যাভ্যাস তৈরি করবে।
এবং পরিশেষে, সকালে বা বিকেলে কমপক্ষে 30 মিনিটের জন্য ব্যায়াম করুন। অন্যান্য শারীরিক সমস্যার কারণে ব্যায়াম করা সম্ভব না হলে অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটুন, যা আপনার হজমে সাহায্য করবে এবং শরীরের মেটাবলিজম বাড়াবে।