ফুড পয়জনিং হলে কি করবেন ?
খাবার থেকে সংক্রমণকে ফুড পয়জনিং বলে। কিন্তু হঠাৎ পেট খারাপ হলে এটাকে ফুড পয়জনিং ভাববেন না। সব খাবার খেলে ফুড পয়জনিং হয় না। শুধু ব্যাকটেরিয়া বা টক্সিন আছে এমন খাবার খেলে ফুড পয়জনিং হতে পারে।
- খাদ্যে বিষক্রিয়ার কারণ:
- দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্য:
- রান্না করা মাংস:
- ফল বা সবজি কাটা:
- হিমায়িত খাদ্য:
- খাদ্যে বিষক্রিয়ার কারণে ক্ষতি:
- প্রতিরোধ ও প্রতিকার:
খাদ্যে বিষক্রিয়ার কারণ:
দুধ ও দুগ্ধজাত দ্রব্য: খাদ্যে বিষক্রিয়া সাধারণত কিছু খাবারের কারণে হয়ে থাকে। প্রথমত, দুধ এবং অন্যান্য দুগ্ধজাত পণ্য। দুধ ঠিকমতো ফুটানো না হলে তাতে ব্যাকটেরিয়া থেকে যায়। খাদ্যে বিষক্রিয়া হতে পারে।
রান্না করা মাংস:
কাঁচা মাংস রান্না করা মাংসের চেয়ে তুলনামূলকভাবে নিরাপদ। কাঁচা মাংস ভালোভাবে প্যাক করে ফ্রিজে রাখলে ১৫ দিন পর্যন্ত ভালো থাকতে পারে। রান্না করা মাংস বেশিক্ষণ ফ্রিজে রাখা যায় না, নষ্ট হয়ে যায়। সেই মাংস খেলে খাদ্যে বিষক্রিয়া নিশ্চিত, যদিও দেখতে একই রকম।
ফল বা শাকসবজি কাটা:
বেশিক্ষণ খোলা রাখলে ফল বা শাকসবজি নষ্ট হয়ে যেতে পারে। এছাড়াও, ফল এবং শাকসবজি কীটনাশক দিয়ে স্প্রে করা হয়, যা জল দিয়ে সম্পূর্ণরূপে ধুয়ে যায় না এবং শরীরের ক্ষতি করে না।
হিমায়িত খাবার:
বোতলজাত, বিশেষ করে টিনজাত, হিমায়িত বা বেকড খাবার সঠিকভাবে সংরক্ষণ বা বেক না করলে দূষণের ঝুঁকি থাকে।
খাদ্যে বিষক্রিয়ার কারণে ক্ষতি:
খাবারে বিষক্রিয়ার কারণে বারবার বমি হওয়া। পেটে খাবার নেই। ডায়রিয়া, ঘন ঘন বাথরুম ভ্রমণ। পানিশূন্যতা দেখা যায়। ক্লান্ত বোধ, কিছু করতে অনুপ্রাণিত না। মাঝে মাঝে জ্বর হয়। তাপমাত্রা যথেষ্ট বেশি।
প্রতিরোধ ও প্রতিকার:
খাদ্যের বিষক্রিয়া প্রতিরোধ করার জন্য আমরা কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে পারি, যেমন খাবার যাতে কোনোভাবেই দূষিত না হয় তা নিশ্চিত করা। পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ভালো করে হাত না ধুয়ে খাওয়া একেবারেই অনুচিত। শিশুদের ক্ষেত্রে বিশেষ যত্ন নিতে হবে। খোলা খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। রান্না করার সময় থালা-বাসন ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে। খাবার সংরক্ষণ করার সময় সতর্কতা অবলম্বন করুন। জল থেকে সংক্রমণ খুব সাধারণ। ভালোভাবে বিশুদ্ধ না করে সেই পানি পান করবেন না। নিয়মিতভাবে বাড়ির পাইপলাইন পরীক্ষা করুন, পানির ট্যাঙ্ক পরিষ্কার রাখুন, সপ্তাহে অন্তত একবার।
ফুড পয়জনিং হলে সাবান দিয়ে ভালো করে হাত ধুয়ে শিশুকে খাওয়ান। আবার শিশুর বমি ও বাথরুমে যাওয়ার কারণে পানিশূন্যতার ঝুঁকি থাকে। সেক্ষেত্রে স্যালাইন খাওয়ানো বাধ্যতামূলক। যাইহোক, এই ক্ষেত্রে, সর্বোত্তম উপায় হল দেরি না করে তাড়াতাড়ি ডাক্তার দেখান।