টিপস : কিভাবে ভাল ছাত্র হওয়া যায় !


একজন ভাল ছাত্র মানে ক্লাসের সবচেয়ে মেধাবী বা বুদ্ধিমান ব্যক্তি নয়। ভাল ছাত্র হতে নিম্নলিখিত কিছু মৌলিক বিষয়গুলো মেনে চলার বিকল্প নেই ।


না বুঝে মুখস্থ করা

মুখস্থ বিদ্যা চিন্তাশক্তিকে অকেজো করে দেয় । না বুঝে মুখস্থ করার মাঝে পড়ার কোনো আনন্দ থাকে না । স্মৃতিতেও ধরে রাখা যায় না । তবে কিছু কিছু বিষয় অবশ্যই মুখস্থ করতে হবে । যেমন- সূত্র, সাল, তারিখ ইত্যাদি । এসব মুখস্থ না করে উপায় নেই ।
একবার পড়েই কোনো বিষয় মনে রাখা সহজ নয় । তাই যেকোন বিষয় মুখস্থ করার আগে বিষয়টি কয়েকবার পড়ে বুঝে নিতে হবে । তাহলে সেটা মনে রাখা অনেক সহজ হবে । পড়ার পাশাপাশি লেখার অভ্যাস খুবই জরুরি ।

নিয়মিত রুটিন অনুসরণ করা
একজন ভালো ছাত্রের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে দৈনিক রুটিন অনুসরণ করা ।অনুশাসনহীনতার কারণে অনেক মেধাবী ছাত্র কাঙ্ক্ষিত ফলাফল থেকে বঞ্চিত হয় ।তাই প্রতিদিনের পড়াশোনা, হোম-ওয়ার্ক, ক্লাস রুটিন ও নির্দিষ্ট সময়ের উপর ভিত্তি করে ধাপে ধাপে আলাদা অনুসূচি বা রুটিন তৈরি ও অনুসরণ করতে হবে । যা ভালো রেজাল্ট করার পূর্বশত ।

সামনের আসনে বসুন
সামনের আসনে বসলে শিক্ষকের কথা খুব ভালোভাবে শোনা যায় । এতে লেকচারের প্রতি মনোযোগও তৈরি হয় ।

⚡ খালি পেটে পাকা পেঁপে খাওয়ার উপকারিতা


ক্লাস নোট তৈরি করা
ভালো রেজাল্টের জন্য নোটের বিকল্প নেই । আসলে যেকোনো শিক্ষক শ্রেণিকক্ষে অত্যন্ত সহজভাবে পাঠ উপস্থাপন করার চেষ্টা করেন ।শিক্ষার্থীরা সেই লেকচার ভালোভাবে নোট নিতে পারলে তা পরীক্ষায় ভালো কাজ দেয় । তাই ক্লাস নোট ভালো রেজাল্টের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ।

দ্রুত ও স্পষ্ট লেখার অভ্যাস
ভালো নম্বর পেতে হলে হাতের লেখা হবে দ্রুত এবং স্পষ্ট ।কারণ দ্রুত লিখতে পারলে অনেক বিষয়েই বাদ পড়ার আশঙ্কা কম থাকে ।

শিক্ষকের সহযোগিতা
কোনো বিষয় না বুঝলে বা খটকা লাগলে পড়ার পর তা মার্ক করে রাখুন । পরবর্তী ক্লাসে শিক্ষককে বলে এর সমাধান করে নিন । শিক্ষকরা এ ব্যাপারে আরও সাহায্য করতে খুবই আগ্রহী থাকেন ।

হতে হবে স্বাস্থ্য সচেতন
একজন ভালো ছাত্র হতে হলে স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখা জরুরি ।শরীরের ভালো থাকলে মন ভালো থাকবে আর মন ভালো থাকলে পড়াশোনায় মনোযোগ দেয়া যাবে । তাই প্রতিদিন অত্যন্ত ৭-৮ঘন্টা ঘুমাতে হবে; সুষম খাবার গ্রহণ করতে হবে ।তাছাড়া কিছু সময়ের ব্যায়াম বা খেলাধুলা বা বেড়ানো মনকে রাখবে চাঙ্গা ।

⚡ দেখুন দুনিয়ায় সবচেয়ে ভয়ঙ্কর ১০টি সাপ

প্রস্তুতি এবং রিভিশন
প্রস্তুতি এবং রিভিশন । এই দুটি বিষয় ভালো ফল অর্জনের পূর্বশর্ত । তাই এ দুটি বিষয়কে গুরুত্ব দিলে অবশ্যই ভালো ফল করা সম্ভব । পরীক্ষায় ভালো ফল করতে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি হিসেবে আংশিক পড়া বিষয়গুলো আবারও রিভিশন দাও ।

পরীক্ষায়
ভালো ফল অর্জনে উত্তরপত্রের উপস্থাপনা একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার । এক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় মার্জিন, এক অনুচ্ছেদ থেকে অন্য অনুচ্ছেদের ব্যবধান রাখতে হবে ।প্রশ্নের উত্তর লেখার ক্ষেত্রে প্রথমেই প্রশ্নটি বুঝে নিতে হবে । বিশ্লেষণধর্মী প্রশ্নের উত্তরের ক্ষেত্রে তথ্য ঠিকমতো সাজিয়ে লিখতে হবে ।

অন্যান্য
পড়ালেখার পাশাপাশি বিভিন্ন শখ থাকলে যেমন-গান গাওয়া, নৃত্য করা, লেখালেখি ইত্যাদি সৃজনশীলতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে । সর্বোপরি আত্মউন্নয়ন ও অধ্যাবসায়ের কোনো বিকল্প নেই ।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url