নীল ক্যাফের পরী (পর্ব - ২) রোমান্টিক প্রেম
ইসরাত চশমা হাতে নিয়ে ঘুরে তাকাল। তারপর নিজের চোখে দেখলেন চশমাটা ঠিক আছে। রিফাহ এসে ইসরাতের সামনে বসলো। তিনি ইসরাতের দিকে তাকিয়ে বললেন, নতুন চশমা কিনছেন নাকি!
ইসরাত চশমাটা হাতে নিয়ে বললো, "গতকাল নারে একটা ছেলে আমার চশমা ভেঙ্গেছে। তারপর আজ একজোড়া চশমা কিনেছে।"
"ওহ, এটা ঠিক!"
"হুম। ওই ছেলেটা একটা বই পড়ছে। আমি কারো উপর রাগ করে বইটা ছিঁড়ে ফেলেছিলাম। তাই সে আমার চশমাটা ভেঙে দিয়েছে।"
"ওহ আচ্ছা। চশমাটা দারুণ!"
"আচ্ছা আমি শোরুমে যাবো। তুমি যাবে?"
"না, আমার একটা কাজ আছে। তুমি যাই কর।"
"ঠিক আছে আমি যাই তাহলে।"
ইসরাত শোরুমে গেল। সে তার পোশাকের দিকে তাকিয়ে ছিল। এরই মধ্যে রনি এলো। ইসরাত তার শার্টের দিকে তাকিয়ে হাঁটছিল। রনি তার শার্টের দিকে তাকিয়ে হাঁটছিল। ইসরাত ধাক্কা দিল রনিকে।
"আমি ধাক্কা দেইনি। আমি শার্টের দিকে তাকিয়ে ছিলাম।"
"কাপড়ের দিকে তাকিয়ে আছো কেন? তোমার বউ নাকি গার্লফ্রেন্ড আছে?"
"আরে, না, বউ, গার্লফ্রেন্ড, কিছুই না। আমি এটা আমার এক বন্ধুর জন্য কিনছিলাম। আমার বন্ধু বলছে তোমার পছন্দ ভালো।"
ইসরাত ভাবল, "তোমার আসলে একটা পছন্দ আছে। চশমাটা সুন্দর!"
"ঠিক আছে."
রনি আগে কখনো ইসরাতের মুখের দিকে তাকায়নি। সে আজ তাকাল। তাকে জাদুকরের মুখ, যাদুকরের চোখের মতো লাগছিল। রনি মুখ তুলে তাকাল। ইসরাত বলেন, আপনার বই ছিঁড়ে ফেলার জন্য আমি দুঃখিত।
"না, ঠিক আছে। তোমার নাম বল?"
"ইসরাত। তোমার?"
"রনি।"
"ওহ আচ্ছা। বন্ধুর গার্লফ্রেন্ডের জন্য কি কাপড় নিতে হবে দেখো।"
"তুমি কিছু মনে না করলে বলো।"
ইসরাত তার শার্টের দিকে তাকিয়ে হ্যাঁ বলল।
"একটু পছন্দ করলে ভালো হবে। আসলে মেয়েদের জন্য এই ভালো কাপড়গুলো শুধু মেয়েরাই কিনতে পারে।"
"ঠিক আছে, আমি একটি পছন্দ করছি।"
ইসরাত রনিকে তার পছন্দের কাপড় দেয়। ইসরাতও কিনতে পছন্দ করে। রনি অনির্বাণের কাছে গেল। শার্টটা হাতে রেখে বললেন, দেখো কেমন হয়েছে।
নিরব ওর জামাটা বের করে বলল, আরে শার্টটা খুব সুন্দর।
"হ্যাঁ, ঠিক আছে, ভবিষ্যতের জন্য এই পোশাক।"
"হুম, দেখুন, আপনার চিন্তা আসে এবং যায়।"
"আচ্ছা তাহলে আমি যাই।"
