বোরকাওয়ালি মিষ্টি বউ (পর্ব -২)
- মা তুমি যা ভাবছ তা ঠিক না, আমি ওই অল্প টাকায় বিয়ে করতে পারব না। (আমি)
মা খুব রাগী স্বরে বলল
- নীরবতা এখন অনেক বেড়েছে। একবার দেখলে অবশ্যই লাইক দিবেন। (মা)
আমি কিছু না বলে চুপ করে বসে রইলাম।
হঠাৎ খালামণি উঠে পড়ল। তারপর একটা ঘরে ডুকলেনকে দেখলাম।
আর খালু আমাকে বলেছে
-বাবা, মুখে কিছু দাও (খালু)।
- না, আমি খেয়েছি। (আমি)
তারপর মুচকি হেসে মায়ের সাথে কথা বলতে লাগল।
আমার কোন ধারণা নাই. আমার মাথায় একটাই চিন্তা
সেই পেত্নীটা নিয়ে। আমি যখন ছোট ছিলাম, তখন আমি এতটাই বিরক্ত হতাম যে আমি আমার খালাদের উদ্দেশ্যমূলকভাবে এখানে আসতে বাধা দিতাম।
তারপর অনেক দিন দেখা হয়নি। আমি জানি না সে এখনও পড়াশোনা করছে কিনা।
এখন দেখতে কেমন তা ভুলে গেছি।
ছোটবেলায় সে খুব কিউট ছিল। আমি মাঝে মাঝে ওর গাল চেপে ধরতাম।
আমি এখনও জানি না এটি আগের মতো সুন্দর কিনা
যাই হোক, মায়ের পছন্দই আমার পছন্দ
হঠাৎ খালামণি ঘর থেকে বেরিয়ে এলেন
উপরে তাকিয়ে আমার চোখ কপালে উঠে গেল।
এটা কিভাবে সম্ভব? কত কিছু বদলে গেছে। সে.
মেয়েটার দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছি।
কারণ মেয়েটি এমনভাবে পর্দা করেছে যে তার সামনে বসে থাকলেও সে তার চোখ দেখতে পাবে বলে মনে হয় না।
কি অপূর্ব দৃশ্য। তার হাত ও পায়ের কালো মোজাগুলো এতটাই শক্তভাবে আবৃত যে আমি সেগুলো দিয়ে তার চোখ দেখার সুযোগও পাই না।
সবাই উঠে আমিও উঠলাম। আমি এখনো মেয়েটার দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে আছি।
তারপর খালামনি তার মেয়েকে তার মুখসহ আমার সামনে দাঁড় করিয়ে দিল
. মেয়েটি তার মা এবং আমাকেও সালাম দিল। আমি শুধু ক্রস খেলেছি। তাকে দেখে এমন পর্দা করা।
আমার জীবনে এই প্রথম মেয়েটিকে এত কঠিন অবস্থায় দেখলাম।
আমি চুপচাপ বসে আছি।
আর আমি বার বার আড় চোখে তার দিকে তাকিয়ে আছি।
আমি জানি না সে দেখতে কেমন।
কিন্তু পর্দায় মেয়েটি অনেক মূল্যবান। আর তার মধ্যে রয়েছে আল্লাহর রহমত।
আমি জানি না এটা কেমন হবে, তবে মাসাল্লাহ আমার মনে হয় আমি তার পর্দা দেখে তার প্রেমে পড়ে গেছি।
হঠাৎ আম্মুর খালামনির ডাক
-কিরি মেয়েটিকে পর্দায় নিয়ে এসেছে সেভাবে। (মা)
- আসলে আমার মেয়ে ভেবেছিল তোমার ছেলের পাশাপাশি তোমার ছেলের বন্ধুরাও আসবে। সে কারণেই এটি পর্দায় আসছে। কারণ পুরুষরা এর সামনে নগ্ন হয়ে হাঁটতে পছন্দ করেন না। তাই (আন্টি)
মা হাসলেন
- তোমার মেয়েকে অনেকদিন দেখিনি। (মা)
তারপর খালামণি আস্তে করে মেয়ের ঘোমটা তুললেন।
আমি সামনে তাকিয়ে মেয়েটিকে দেখে থমকে গেলাম।
আমি অবাক হয়ে তার দিকে তাকালাম।
আমি এই চেহারা বর্ণনা কিভাবে জানি না
তবে যতই বলি ততই কম অনুভব হবে।
গায়ের রং ফ্যাকাশে। নিষ্পাপ সুন্দর শিশুর মুখ। চোখ দেখে আমার চোখ চকচক করছে।
চোখে কাজল। আরো জাদুকরী দেখায়।
আম্মুতোকে দেখে বললেন, মাসাআল্লাহ, কি সুন্দর তোমার মেয়ে দেখতে। এমন বউ পেয়ে আমার ছেলে খুব ভাগ্যবান। (মা)
মায়ের কথা শুনে কিছু বলতে পারলাম না। কারণ আমি এটা অনেক পছন্দ করি।
তাই মাথা নিচু করে বসে রইলাম।
খালু হঠাৎ বলল।
- কোন কথা থাকলে বলতে পারেন। একশত হলেও উভয়ের মধ্যে মতভেদ রয়েছে। কারো ইচ্ছার বিরুদ্ধে অন্য কিছু করা যাবে না। (খালি)
আমি কিছু বলতে যাচ্ছিলাম ঠিক তখনই মেয়েটি বলল..
- ওকে (সোনিয়া) আমার কিছু বলার আছে।
সবাই তার দিকে এমনভাবে তাকালো যেন তারা তার কথা আগে কখনো শোনেনি।
আমি অবশ্যই খুশি। তাহলে একটু অন্যভাবে কথা বলা যাক।
তারপর আমরা দুজনে একটা ঘর দিয়ে এলাম।
দুজনের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে আছি, এখন কি বলব বুঝতে পারছি না
আমি দুঃখিত আপনি তার নাম বলেননি.
মেয়েটির নাম সোনিয়া তাবাছুম।
মেয়েটি নীরবতা ভেঙে বলল
- এতদিন কুকুরটা (সোনিয়া) কোথায় মরছে?
কথাটা শোনার সাথে সাথে আমি অবাক হয়ে তার দিকে তাকালাম। বুঝলাম পিঠের পাগলামি এখনো যায়নি। আগের মতই আছে।
আমি একটু অবাক হয়ে বললাম নিজেকে স্বাভাবিক রেখে
- কি বলো আমি বড় আর তুমি বলো তাই তুমি (আমি) ৬
- আমি তোমাকে একশবার বলব (সোনিয়া)
- আমাকে আবার বলুন আমি কি বলতে চাই (আমি)।
- কে (সোনিয়া)
- কি হু (আমি)
- কিছু না (সোনিয়া)
এবার সাহস করে বললাম
- এই ফিরে আমাকে (আমাকে) বিয়ে করবে।
- কি বললে আমি ছোট (সোনিয়া)
- দেখ তোমার বয়স কত (আমি)
- হু অং (সোনিয়া)
- এটা (আমি) আবার কি?
- কিছু না (সোনিয়া)
এবার একটু বিরক্তি নিয়ে বললাম
- তুমি যদি আমাকে বিয়ে করতে রাজি না হও, আমি চলে যাব (আমি)
সাথে সাথে আমার কলার চেপে ধরে বলল
- সত্যি করে বলো তুমি কত প্রেমে আছো (সোনিয়া) ৬
- আরে, আরে, কি করছো?
- তুমি কতবার প্রেমে পড়েছ বলো (সোনিয়া)
- আমি কাউকে (আমাকে) ভালোবাসি না।
সাথে সাথে আমাকে চেপে ধরলো.....খুব কষ্টে
হঠাৎ মেয়েটা আমাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো...?
আমি লড়াইও করতে পারিনি।
হঠাৎ কেন বুঝতে পারলাম না।
কিছুক্ষন পর আমার বুকের ভিতর মারতে লাগলো
আমার শার্টটাও ভিজে লাগছে।
বুঝলাম মেয়েটা কাঁদছে।
হত্যা হচ্ছে হত্যা
- কুকুরটা এতক্ষণ আমার সাথে কথা বলতে পারেনি। তুমি (সোনিয়া)
শুনে আমি অনেক হেসেছিলাম, তাই হাসিমুখে জবাব দিলাম
- হুমমম, কি করতে যাচ্ছিস?
- একটু বিরক্ত হতাম তাই বুঝিনি রাগ করে এভাবে চলে যাবো (সোনিয়া)
- কি একটা কুত্তা সারাদিন আমাকে জ্বালায় (আমি)
- তাই
- হুম, থামলে কেন.. (আমি)
- কারণ আমি তোমাকে ছোট থেকেই ভালোবাসি, বুজসেন (সোনিয়া)।
এই বলে আমার বুকে মুখ লুকালো।
আর এমন শিশুদের কাজ দেখে আমার হাসি পায়।
- হুমমম, দেখছি, ছোটবেলায় খুব ভালোবাসতাম, এখন বড় হয়ে গেছিস? তুমি এখনো ছোট (আমি) (একটু রেগে বললাম)
কথাটা শোনার সাথে সাথে সে আমার বুক থেকে মাথা তুলে রাগী চোখে আমার দিকে তাকাল..
- দুদিনের মধ্যে আমি তোমার সন্তানের মা হবো আর তুমি আমাকে ছোট কুকুর বলে ডাকো.. (সোনিয়া)
- হিহিহি তাই বা (আমি)
-আচ্ছা তুমি কি এখনো পড়ালেখা করছ..? (আমি)
- না, আমি বাচ্চাদের ঘরে কোরআন পড়ি, উপহারের পরিবর্তে আমি নিজের হাতে ব্যয় করি (সোনিয়া)
- তাহলে আমাকে শেখালি না কেন?
তখন সোনিয়া তাকে শক্ত করে ধরে বলল
- এত পড়লে কি হবে? আমি কুরআন মুখস্থ করেছি এবং তাছাড়া আমি প্রতিদিন তোমাকে স্বপ্ন দেখি এবং মহান আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করার পর তোমার জন্য প্রার্থনা করি। আল্লাহ তায়ালা আমার দোয়া কবুল করেছেন তাই এখন আমি তোমাকে আমার স্বামী (সোনিয়া) হিসেবে পেতে যাচ্ছি।
তার কথা শুনে কি বলব বুঝতে পারছি না। আমি জানতাম না যে আমি তাকে ছোটবেলা থেকে এত ভালবাসতাম।
জানলে ছোটবেলা থেকেই ভালোবাসতাম।
আর না জানাই ভালো। বিয়ের আগে প্রেম হারাম।
এখন বিয়ের পর প্রেম করব।
হয়তো তার প্রার্থনায়...
বোরকাওয়ালি মিষ্টি বউ (পর্ব -৩)