আপনার ছেলে মেয়ে খারাপ রিলেশনে জরিয়ে পরলে কি করবেন?
সন্তান ভুল সম্পর্কে জড়িয়ে পড়লে অভিভাবকের যা করণীয় সে বিষয়ে জানবো আজ। প্রায়ই শোনা যায় সন্তান তার পছন্দ অনুযায়ী পরিবারের অজান্তেই সম্পর্কে জড়িয়েছে। বিষয়টি পরে বুঝতে পারে পরিবার।
ঠিক সেই সময়েই বাধে আপত্তি।পরিবার থেকে কখনও সেই সম্পর্ক মেনে নিতে চায় না। এদিকে সন্তানও সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে পারছে না। আবারও পরিবার থেকে বুঝতে পারে সম্পর্কের বিপরীতে থাকা সঙ্গী একদমই ভালো না।যে কারণে পরিবারের কিশোর বা কিশোরী মাঝে মধ্যেই লুকিয়ে কান্না করে। কিন্তু সন্তানও এ বিষয়ে পরিবারের কারো সঙ্গে কিছু আলাপ-আলোচনা করে না।বিশেষজ্ঞদের মতে, অনেক সম্পর্কের মধ্যেই জটিলতা সৃষ্টি হয়। বিশেষ করে টিনেজে গড়ে উঠা সম্পর্কে বিভিন্ন সমস্যা থেকেই যায়।
অল্পবয়সীদের মধ্যে ভালোবাসার অনুভূতি নতুন হওয়ায় তারা অত্যন্ত আকর্ষণ ও উত্তেজিত হয়ে থাকে।কিন্তু এটা জানে না যে, বিপরীত লিঙ্গের মানুষকে নতুন নতুন চেনা-জানার মধ্যে যেমন মজা রয়েছে ঠিক তেমনই কিছু জটিলতাও থাকে। ছেলে-মেয়ে এই বয়সে সম্পর্ক ও সম্পর্কের বিষয়ে পরিবারের চিন্তা-ভাবনা নিয়ে বেশ দুশ্চিন্তায় থাকেন। তাই সম্পর্কে থাকা অবস্থায় সন্তানদের সঙ্গে কোনও প্রকার দুর্ব্যবহার করা একদমই উচিত নয়।
এই সময় ঠাণ্ডা মাথায় বুঝাতে হবে তাদের। প্রকৃত সম্পর্ক কেমন হয় তা বুঝিয়ে বলতে হবে তাদের।সন্তান কখনও তার সম্পর্কের সমস্যা নিয়ে আলোচনা করতে চাইবে না আপনার সঙ্গে। এ ক্ষেত্রে ধীরে ধীরে আপনি নিজেই সন্তানের সঙ্গে সম্পর্কে থাকা পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার বিষয়ে কথা বলা শুরু করুন। সন্তান নিজ থেকে বুঝতে পারবে তাদের গড়ে উঠা সম্পর্কে ফাটল রয়েছে।,
সন্তানকে এমনভাবে বুঝাতে হবে যেন আপনি সবসময় তার পাশেই রয়েছেন। এমনকি অনুভূতিতে আঘাত লাগলে সন্তান যেন আপনার বুকে মাথা রেখে কাঁদতে পারে এমন সম্পর্ক তৈরি করে নিন।একবার যদি সন্তান বুঝতে পারে আপনার এই মনমানসিকতার বিষয়টি তাহলে সে নিশ্চিত আপনার সঙ্গে সকল কিছু আলোচনা করবে। প্রতিটি সন্তানই মা-বাবা থেকে তার ভালোবাসার জীবন লুকিয়ে রাখতে চাইবে।
এ নিয়ে অবাক হওয়ার কিছু নেই। টিনেজের ছেলে-মেয়েরা এমনটা করেই থাকে। এটা চিরন্তন সত্য যে, দিন শেষে খারাপ সম্পর্ক এবং সম্পর্কে দুঃখ পাওয়া জীবনের অঙ্গ। প্রতিটি মানুষই প্রেমে আঘাতপ্রাপ্ত।সন্তানের এই বয়সে এই ব্যথা নতুন পরিবর্তন নিয়ে আসবে তার জীবনে। সে নতুন করে অনেক কিছু শিখবে ও জানবে। ভবিষ্যতে পরবর্তী কোনো সম্পর্কে জড়ানোর আগে সে দ্বিতীয়বার অন্তত ভাববে।
অতীত থেকে শিক্ষা নেওয়ার চেষ্টা করবে।তবে অভিভাবকদের খেয়াল রাখতে হবে সন্তান যেন মনসিকভাবে ভেঙে না পড়ে এবং কোনোভাবে নিজের ক্ষতির চেষ্টা না করে। খুব বেশি সমস্যা হলে প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের দ্বারস্থ হন।