ফুসফুসের ক্ষমতা বাড়ানোর উপায় জেনে নিন
ফুসফুসের ক্ষমতা বাড়ানোর উপায় জেনে নিন। ‘শর্টনেস অফ ব্রেথ’ বা দম ফুরিয়ে আসার পেছনে নানান কারণ থাকতে পারে। সিঁড়ি বেয়ে ওঠা, জোরে হাঁটা(Walking) কিংবা দৌঁড়াতে গিয়ে যারা অল্পতেই হাঁপিয়ে ওঠেন তাদের ফুসফুসে বাতাস ধরে রাখার জায়গা কমে যাচ্ছে। ‘শর্টনেস অফ ব্রেথ’ বা দম ফুরিয়ে আসার পেছনে নানান কারণ থাকতে পারে।
Muktohasi.com Was Publish all This Topic Related Article. Wet Loss Ideas,Make u Shine Tips,Health tips,bd Health tips,Health ministry bd,Daily health tips,Health hotline bd,Baby health tips,হেলথ,Health tips bangla,dg health bd,department of health bd,Mental health tips and More Beauty Tips.
স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে এই বিষয়ের ওপর প্রকাশিত প্রতিবেদনে চিকিৎসাবিজ্ঞানের সূত্রানুসারে জানানো হয়-, হাঁপানি, ধূমপান(Smoking), ‘ক্রনিক অবস্ট্রাক্টিভ পালমোনারি ডিজিজ (সিওপিডি)’ ইত্যাদির কারণে দম ফুরিয়ে যাওয়ার মতো অবস্থার তৈরি হতে পারে। এসবে আক্রান্ত কিংবা আসক্তদের উচিত হবে নিজেদের ফুসফুসের কার্যক্ষমতা বাড়ানোর জন্য পদক্ষেপ নেওয়া।
‘লাং ক্যাপাসিটি’
ফুসফুস একবারে ঠিক কতটুকু বাতাস তার ভেতরে নিতে পারে সেই পরিমাণটাই হল ওই মানুষের ‘লাং ক্যাপাসিটি’। বয়স বাড়ার সঙ্গে ফুসফুসের এই বাতাস ধারণ ক্ষমতা কমতে থাকে। আর ফুসফুস(Lung) কিংবা শ্বাসতন্ত্রের বিভিন্ন রোগে যারা ভুগছেন তাদের ক্ষেত্রে সমস্যা আরও দ্রুত দেখা দিতে পারে। প্রাকৃতিকভাবে পুরুষের ফুসফুসের বাতাস ধারণ ক্ষমতা নারীদের ফুসফুসের তুলনায় বেশি হয়। এই ধারণ ক্ষমতা নিচের কিছু উপায়ে বাড়ানো যেতে পারে।
শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম: ‘ব্রিদিং এক্সারসাইজ’ বা শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম(Exercise) ফুসফুসের বায়ু ধারণ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য বেশ কার্যকর। ‘ডায়াফ্রাগম্যাটিক ব্রিদিং’, ‘পার্সড লিপস ব্রিদিং’, প্রনয়ম ইত্যাদি কার্যকর এবং পরিচিত শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়ামগুলোর মধ্যে অন্যতম। চিকিৎসকের পরামর্শ মাফিক এই ব্যায়ামগুলো অনুশীলন করতে ফুসফুসের বায়ু ধারণ ক্ষমতা বাড়বে এবং ফুসফুস(Lung) স্বাস্থ্যবান থাকবে।
কার্ডিও এক্সারসাইজ: শুধু হৃদযন্ত্রের জন্য নয়, ফুসফুসের সুস্বাস্থ্যের জন্যও ‘কার্ডিও এক্সারসাইজ’ উপকারী। প্রতিদিন মাত্র আধা ঘণ্টা সময় দিলেও অনেকটা উপকার পেতে পারেন। এই ধরনের ব্যায়াম(Exercise) করার সময় ফুসফুসের উপর বেশ ধকল যায়। ফলে ফুসফুসেরও ব্যায়াম করা হয়ে যায় এবং ক্রমে তার বায়ু ধারণ ক্ষমতা বাড়ে। দৌড়ানো, সাইকেল চালানো, সাঁতার কাটা(Swimming) ইত্যাদি অন্যতম কার্যকর ‘কার্ডিও এক্সারসাইজ’।
পানি পান: ফুসফুস শরীরের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ এবং তার জন্যও পর্যাপ্ত পানি প্রয়োজন। শরীরের স্বাভাবিক আর্দ্রতা(Humidity) বজায় থাকলে ফুসফুসের ‘মিউকোসাল লাইনিং’ বা শ্লৈষ্মিক ঝিল্লি পাতলা থাকবে এবং তা ভালোভাবে কাজ করবে।
শোয়া-বসার ধরন: কীভাবে শুয়ে ঘুমান বা বসেন তার ওপর একজন মানুষের ফুসফুসের বায়ু ধারণ ক্ষমতা নির্ভর করে। বসার সময় যদি সামনের দিকে ঝুঁকে বসেন বা পিঠ সোজা রেখে না বসেন তবে ফুসফুসের ধারণ ক্ষমতা কমতে থাকে। কারণ এভাবে বসলে ফুসফুস(Lung) সংকুচিত হয়ে থাকে লম্বা সময় ধরে। আর একসময় তা আর প্রসারিত হয়ে স্বাভাবিক হতে পারে না। তাই সবসময় সোজা হয়ে বসার অভ্যাস করতে হবে।
ভিটামিন ডি: ফুসফুসের ধারণ ক্ষমতা বাড়াতে ভিটামিন ডি’র প্রয়োজন আছে। শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যায় আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় ভিটামিন ডি(Vitamin D) যোগ করায় রোগীরা উপকার পেয়েছেন এবং দীর্ঘ সময় শরীরচর্চা করতে পেরেছেন, দাবি চিকিৎসকদের। ভিটামিন ডি সংগ্রহ করতে পারেন সূর্যের আলো থেকে কিংবা নিতে পারে ‘সাপ্লিমেন্ট’। মাছ, ডিম, মাংস ইত্যাদি ভোজ্য উৎস থেকেও ভিটামিন ডি পাওয়া যায়।
ফুসফুস স্বাস্থ্যকর রাখতে
এই উপায়গুলো হয়ত ফুসফুসের বায়ু ধারণ ক্ষমতা বাড়াবে। তবে প্রতিষেধনের চাইতে প্রতিরোধ সবসময় ভালো। তাই ফুসফুসের ধারণ ক্ষমতা কমে যাওয়া কারণগুলো দুর করতে হবে। ধূমপান(Smoking) বর্জন করতে হবে। খাদ্যাভ্যাসে ‘অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট’ সমৃদ্ধ খাবারের মাত্রা বাড়াতে হবে। ঘরের বায়ু দূষণ(Air pollution) নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করতে হবে। বাইরের দূষণ থেকে নিজেকে বাঁচানোর চেষ্টা করতে হবে।