কিভাবে বুঝবেন আপনি সৌভাগ্যবতী?


কন্যা সন্তানও হয় সৌভাগ্যবতী। কথাটি এখন কুসংস্কার নয় একদম সত্যি। আমাদের দেশে এখনো কিছু কিছু গ্রাম রয়েছে যেখানে কন্যাসন্তান জন্ম নিলে রীতিমত শোক পালন করা হয়।

অথচ তাদের সত্যিই কোন ধারণা নেই যে বর্তমান যুগে নারীরা কতটা এগিয়ে গেছে। পুরুষদের সাথেই কাঁধে-কাঁধ মিলিয়ে সমস্ত রকম দায়িত্ব সামলাতে পারে তারা।

লোকজনরা জানে না যে, পু’রু’ষরা একবার হলেও তাদের দুঃখ দিতে পারে কিন্তু নারীরা কখনই সেটা করে না। একথা একদম সত্যি যে বিয়ে দেওয়ার পর মেয়ে’রা মেয়েই থাকে কিন্তু ছেলেরা স্বামী হয়ে যায়। এই জগতে অ’মূল্য অবদান রয়েছে মহিলাদের। কারণ তাদের থেকেই সৃষ্টি হয় নতুন প্রাণের।

সবাই জানে যে নারীরাই নতুন প্রাণের উৎস, তবুও নারীদের প্রাপ্য সম্মান দেওয়া হয় না। তবে বলা উচিত যে, বর্তমানে অনেক লোকজনেরই নারীদের সম্পর্কে চিন্তা-ভাবনা পাল্টেছে।
আর কোন ধরনের মহিলারা তাদের পরিবার ও স্বামীর জন্য সৌভাগ্যশালী হন। এ ক্ষেত্রে মহিলাদের নির্দিষ্ট কয়েকটি অঙ্গ বড় হলে তা পরিবারে সুখ-সমৃদ্ধি নিয়ে আসে।

আসুন দেখে নেওয়া যাক কোন কোন অঙ্গ বড় হলে তা পরিবারে সুখ-সমৃদ্ধি নিয়ে আসে:

লম্বা চুলঃ
যেসব মহিলাদের চুল লম্বা তাদের বরাবরই পরিবারের জন্য অত্যন্ত ভাগ্যশালী মনে করা হয়। এই ধরণের মহিলারা যে পরিবারে যান সেই পরিবারে কখনোই টাকা-পয়সার অভাব হয়না।

বড় চোখঃ
যেসব মহিলার চোখ বড় হয় তাদের দেখতে তো সুন্দরী লাগেই, এছাড়াও এনারা স্বামীকে অত্যন্ত ভালোবাসেন। যে বাড়িতে এনারা যান সেখানে ধন-সম্পদের আধিক্য ঘটে। এই ধরণের মহিলারা কখনই নিজের স্বামীকে ঠকান না।

লম্বা নাকঃ
যেসব মহিলাদের নাক লম্বা হয় তাদের সব রকম সমস্যা শান্ত মাথায় সমাধান করার ক্ষমতা থাকে। এনাদের টাকা খরচ করার প্রবণতা থাকে, তবে তারা কখনই বাজে খরচ করেন না।

লম্বা গলাঃ
যেসব মহিলার লম্বা গলা আছে তার অত্যন্ত সৌভাগ্যের অধিকারীনি হন।

লম্বা আঙুলঃ
যেসব মহিলাদের আঙুল লম্বা হয় তারা অত্যন্ত বুদ্ধীমতি হন, আর তাদের লেখা-পড়া করার দারুণ সখ থাকে। এই ধরণের মহিলারা টাকা-পয়সা কম খরচ করেন এবং টাকা-পয়সা পেলে চেষ্টা করেন তা কিভাবে বাড়ানো যায়।

সংসারে স্বামীর দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনে কম সময় দিলে আপনার কি করনীয়?
একটি সংসার সুন্দর করে গড়ে তুলতে স্বামী ও স্ত্রী দুই জনের ভুমিকা থাকা উচিত। তবে নানাবিধ কারনে স্বামী তার কর্ম বেস্ততার কারনে সংসারের প্রতি তেমন সময় দিতে পারেন না।
নিজের অফিস, ছেলেমেয়ের স্কুল, সংসারের কাজ সমেত যাবতীয় ঝক্কি পোয়াতে হয় আপনাকেই! এমনকী, কোনও গেট টুগেদার বা নেমন্তন্নবাড়িতেও স্বামীর উপস্থিতি খুবই অনিশ্চিত।

দিনের শেষে দু’জনের কথা বলার সময়টুকুও থাকে একেবারে মাপা! স্বামী কাজপাগল হলে স্ত্রীর উপরেই সাংসারিক সমস্ত দায়দায়িত্ব এসে পড়ে এবং সেটা যদি দিনের পর দিন চলতে থাকে, তা হলে হতাশা দেখা দেওয়া খুব স্বাভাবিক! দাম্পত্যজীবন তথা সংসারের প্রতি বিরক্তি দেখা দেওয়াও আশ্চর্য নয়!

প্রশ্ন হল, আপনার সংসারেও যদি এরকম ছবি দেখা যায় তা হলে কী করবেন আপনি? কীভাবে নেতিবাচক চিন্তা দূরে সরিয়ে রেখে মনোযোগ দেবেন সংসারের প্রতি? স্বামীর দৈনন্দিন কর্মব্যস্ত রুটিনের সঙ্গে মানিয়েই বা নেবেন কীভাবে? উত্তর খোঁজার চেষ্টা করলাম আমরা!

কিছু নিয়ম ঠিক করে নিন
আপনার স্বামী যদি রাতদিন কাজ নিয়েই ব্যস্ত থাকেন, তা হলে তার কারণ সম্ভবত দুটো। এক, ওঁর বস সারাক্ষণ ওঁর উপর কাজের পাহাড় চাপিয়ে রাখেন, আর দুই, উনি নিজেই কাজ করতে ভালোবাসেন। আপনার ক্ষেত্রে কারণটা যাই হোক না কেন, এ ক্ষেত্রে স্বামীকে বোঝা খুব দরকার। কাজের প্রতি ওঁর অনুভূতিটাও বুঝতে হবে।

হয়তো আপনার স্বামী এমন একটা দায়িত্বশীল পদে আছেন যেখানে সব কিছু সামলে সংসারের প্রতি সমান নজর দেওয়া বা ব্যালান্স করাটা ওঁর পক্ষে সত্যিই সম্ভব হচ্ছে না! এখানেই আপনার ভূমিকাটা জরুরি। দিনের পর দিন সংসারের দিকে স্বামী মনোযোগ না দিতে পারলে ওঁর মধ্যেও একটা অপরাধবোধ তৈরি হতে বাধ্য।

তাই এখানে কিছু নিয়ম দরকার। উনি যদি রোজ রাত করে বাড়ি ফেরেন, তা হলে ঠিক করে নিন অন্তত ব্রেকফাস্টটা দু’জনে একসঙ্গে করবেন, আর সেই সময়টা কেউই ফোন ঘাঁটবেন না। অথবা সপ্তাহে অন্তত একদিন একসঙ্গে লাঞ্চ বা ডিনার করবেন। ফাঁক বুঝে সামান্য একটু সময় বের করে নেওয়া খুব বড়ো ব্যাপার নয়, আর সেই সময়টুকু একান্তভাবে নিজেদের জন্য রাখুন।

ঘণ্টার হিসেবে নয়, জোর দিন কীভাবে সময় কাটাচ্ছেন তার উপর
পার্টনারের সঙ্গে দিনের কতক্ষণ কাটালেন, সেটা বড়ো কথা নয়। সময়টা আপনারা কীভাবে কাটালেন, কতটা উপভোগ করলেন সেটাই বড়ো কথা! সপ্তাহের একটা দিনের কিছুক্ষণ নিজেদের জন্য বরাদ্দ রাখুন। ওই সময়টা এমনভাবে কাটান যাতে দু’জনেই তৃপ্তি পান। তা হলে সম্পর্কে আর অপরাধবোধ আসবে না।

নিজেকে সময় দিন
পার্টনার কাজে ব্যস্ত বলে নিজের সময়টা বয়ে যেতে দেবেন না! আপনি নিজেও চাকরি করলে তো কথাই নেই, গৃহবধূ হলেও নিজের পছন্দের কিছু কাজ করুন। চাকরিরতারাও অবসরের সময়টুকু পছন্দের কাজ করতে পারেন। বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করুন, নতুন কিছু শিখুন, ফিটনেস ক্লাসে যোগ দিন। মোট কথা এমন কিছু করুন যাতে দিনের শেষে মনে না হয়, সময়টা নষ্ট হল!

নিরাপত্তাহীনতায় ভুগবেন না
স্বামী যদি প্রত্যাশা পূরণ করতে না পারেন, মনের মধ্যে নিরাপত্তাহীনতা দেখা দেওয়া খুব স্বাভাবিক। স্বামীর সঙ্গে ব্যাপারটা নিয়ে খোলাখুলি কথা বলুন। যে কোনও সম্পর্ক সফল করে তোলার জন্য খোলামেলা কথা বলা খুব জরুরি। পারস্পরিক স্বচ্ছতা থাকলে নিরাপত্তাহীনতা আপনাদের সম্পর্কে ঢুকতেই পারবে না।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url