চাকরী পরিবর্তন করতে চান?


চাকরির ক্ষেত্রে পরিবর্তনের প্রয়োজন রয়েছে। বিশেষ করে যখন বর্তমান চাকরিতে যোগ্যতা থাকার পরও উন্নতি হচ্ছে না, তখন নতুন একটি চাকরিতে যোগ দেওয়াটা জরুরি প্রয়োজন হয়ে পড়ে। তাই হয়তো এক সময় সিদ্ধান্ত নিয়ে চাকরির পদত্যাগপত্র নিয়ে জমা দিতে গেলেন। কিন্তু সেখানেই পেয়ে গেলেন বেতন বাড়ানোর প্রস্তাব। তখন খুশি মনে তা গ্রহণ করাটাই ভালো মনে হয়। কিন্তু একজন বিশেষজ্ঞ বলছেন ভিন্ন কথা। তার মতে কোনো অবস্থাতেই এ ধরনের প্রস্তাব গ্রহণ করতে হয় না।

⚡ কোন ২০টি সুন্দর পাখি সারা বিশ্ব খুজে বেড়ায়?

বর্তমানে যে চাকরিটি ছেড়ে দিতে চাইছেন তার পেছনের কারণ সম্পর্কে ঊর্ধ্বতন কর্তারা অবগত। এ সিদ্ধান্ত যে কারণে কর্তৃপক্ষের কাছে নতুন কিছু নয় সেগুলো হলো— আপনার কাজের যোগ্যতা অনুপাতে কম বেতন দেওয়া হয় আপনাকে। হয়তো এ জন্য বসকে বলেছিলেন কোনো এক সময়। বর্তমান কাজ আপনার কাছে বিরক্তিকর মনে হতে পারে। আরও চ্যালেঞ্জিং কাজ পেতে হয়তো বসকে বলেছিলেন।

যদি অতি কাজের চাপে আপনার কর্মোদ্যম ধীরে ধীরে কমতে থাকে, এ জন্য হয়তো আপনি সপ্তাহে কম কাজ করতে চেয়েছিলেন। এসব কারণ ছাড়া যে কারণেই আপনি চাকরি বদলে ফেলার পরিকল্পনা করুন না কেন, যতটা পারা যায় তার সমাধানের চেষ্টা করুন। অবশেষে সমাধানের পথ না পেয়েই নিশ্চয়ই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নতুন চাকরিতে চলে যাওয়ার।

⚡ মেয়েদের ২৫টি উন্নত বব হেয়ার স্টাইল ২০২২

নতুন যে চাকরিতে গেলে ক্যারিয়ার সম্ভাবনাময় হয়ে উঠবে বলে ভাবছেন, বর্তমান প্রতিষ্ঠানের বেশি বেতনের প্রস্তাবে কেন থেমে যাবেন? তা ছাড়া এতদিন কাজ করার পরও আপনার বেতন বাড়ানো হয়নি। চলে যাওয়ার সিদ্ধান্তে এতদিনে কী কর্তৃপক্ষের টনক নড়েছে? সাধারণত কর্তৃপক্ষ চায় না কোনো বিভাগ হঠাৎ করেই একজন ভালো কর্মীর অভাবে পড়ে যাক। তাই এ ধরনের প্রস্তাব করা হয়।

তবে চাকরি পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত থেকে না সরে যাওয়াই ভালো। নিজের সাধ্যমতো সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করার পর একবার সিদ্ধান্ত নিয়ে নিলে তা ভালো কিছুই বয়ে আনে। এখানে যা এতদিন পাননি, তা পেতেই তো নতুন কোথাও যাওয়ার উদ্যোগ নিয়েছেন। সেখানে নিশ্চয়ই ভালো সুযোগ রয়েছে। তাই পুরনো স্থানে পড়ে থাকার প্রয়োজন নেই।

আমাদের দেশে প্রতিবছর বৃদ্ধি পাচ্ছে চাকরিপ্রার্থী মেধাবী তরুণের সংখ্যা। চাকরির পদের তুলনায় চাকরিপ্রার্থীর সংখ্যা অত্যাধিক বেশি থাকায় যেকোনো ধরনের চাকরি অর্জনের লক্ষ্যে নিরন্তর ছুঁটে চলতে হয় এসব তরুণদের। কেননা বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ ডিগ্রি অর্জনের পরও কাঙ্ক্ষিত চাকরি লাভে ব্যর্থ হওয়ায় দীর্ঘায়িত হয়ে চলে বেকারত্বের যন্ত্রণা।

⚡ সেনাবাহিনীতে মেয়েদের সতীত্ব হয় কিভাবে? 

কঠিন বাস্তবতার সম্মুখীন হয়ে যেকোনো ধরনের চাকরি অর্জনই তখন হয়ে উঠে মুখ্য উদ্দেশ্য। ফলে স্বল্প বেতন এবং অফিস প্রদত্ত বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা বঞ্চিত হয়েই শুরু করতে হয় ক্যারিয়ার। নতুন চাকরিক্ষেত্রে নিজের শিক্ষাগত যোগ্যতার স্বাক্ষর রাখতে নিরলসভাবে কাজ করে গেলেও অনেকক্ষেত্রেই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট হতে বিরূপ ব্যবহার পেয়ে থাকে তারা।

বাংলাদেশে চাকরিক্ষেত্রে পদের তুলনায় চাকরিপ্রার্থীর আধিক্য থাকায় নিয়োগপ্রদানকারী প্রতিষ্ঠানসমূহ তাদের কর্মকর্তা কর্মচারীদের তুলনামূলকভাবে মূল্যায়ন কম করে থাকে। অনেক ক্ষেত্রেই বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ব্যক্তিরা তাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে কাজের যথাযথ মূল্যায়ন না পাওয়ার পাশাপাশি খারাপ ব্যবহারের সম্মুখীন হয়ে থাকে প্রতিনিয়ত।

সেই সাথে চাকরির নিয়োগপত্রে উল্লেখিত কাজের দায়িত্বের অতিরিক্ত কাজ করার বিষয়ে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানেই কর্মরত ব্যক্তিদের বেতন বৃদ্ধি না করায় বিভিন্ন ব্যক্তি চেষ্টা চালিয়ে যায় নিজ যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা অনুযায়ী পছন্দনীয় চাকরি অর্জনে।

⚡ অনলাইন ৫টি কাজ যা ফুলটাইম করতে পারবেন

বিশেষ করে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহে কর্মরত ব্যক্তিরা সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরি লাভের উদ্দেশ্যে নিজেদের নিয়োজিত করার পাশাপাশি প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখে দেশের প্রতিষ্ঠিত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সম্মানজনক চাকরি অর্জনে। নিজ মেধা, যোগ্যতা এবং প্রচেষ্টার মাধ্যমে যখন পছন্দনীয় চাকরি ক্ষেত্রে প্রবেশের সুযোগ আসে তখন চাকরিরত প্রতিষ্ঠানসমূহ হতে অনেকক্ষেত্রেই প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হতে হয় মেধাবী তরুণদের। 
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url