যাতায়াতে সময় যত বেশী যায় অফিসের কাজে তত অনীহা বাড়ে
অনেকেরই বাসা থেকে বের হওয়ার পর অফিস পৌঁছাতে অনেক বেশি সময় লাগে? তা নিয়ে বিরক্তির শেষ থাকে না। এমন অসংখ্য মানুষ রয়েছে যাদের অফিসে পৌঁছানোর সময় এতটাই বেশি যে পৌঁছানোর পর অফিসের কাজ হয়ে ওঠে অসহ্য। দিনে দিনে যানজটের পরিমাণ বেড়েই চলেছে।
ঘণ্টার পর ঘণ্টা রাস্তার যানজট ঠেলে অফিসে পৌঁছানো এবং বাড়ি ফেরা অনেক ক্লান্তির। তার ওপর মেট্রো শহরে এর পরিমাণ আরো বেশি। সম্প্রতি এক সমীক্ষায় বিশেষজ্ঞরা জানতে পেরেছেন, যত সময় ধরে কেউ অফিস পৌঁছান, তার জব স্যাটিসফেকশন ততটাই কম। অফিসের কাছে যার বাড়ি তার থেকে অনেকাংশেই কম অন্তত।
সম্প্রতি পশ্চিম ইংল্যান্ডের এক দল গবেষক অফিস পৌঁছানোর জন্য অতিবাহিত সময় এবং কাজের প্রতি ভালোবাসার মধ্যে একটি যোগসূত্র খুঁজে দেখেছেন। ওই গবেষকদের দাবি, প্রতি বাড়তি এক মিনিটে কর্মীর মানসিক স্ট্রেস বাড়তে থাকে এবং কাজের প্রতি অনীহা বাড়ে।
২০ মিনিট বাড়তি সময় কাটিয়ে দিলে তা কর্মীর মনে ১৯ শতাংশ বেতন কেটে নেওয়ার প্রভাব ফেলে। ফলে কাজের কোনো আনন্দ উপভোগ করতে পারেন না কর্মচারীরা। হার্ভার্ড বিজনেস রিভিউ-এর এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, ইউরোপের ছয়টি শহরের প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার মানুষের মতো অফিসে পৌঁছাতে দেরির কারণে কর্মক্ষেত্রে যে মানসিক হয়রানি তৈরি হয়, তার পরিমাণ অনেক বেশি নতুন বাড়িতে শিফট করার চেয়ে।
অফিস থেকে বাড়ি এবং বাড়ি থেকে অফিসে আসার সময় একজন মানুষকে তার ‘চরিত্র’ পাল্টে ফেলতে হয়। অনেক বেশি সময় ট্রাভেল করলে সমস্ত শক্তি ও অ্যানার্জি নষ্ট হয়ে যায়। মানুষ অনেক বেশি বিরক্ত হয়ে পড়ে। সে কারণে ধীরে ধীরে জীবন উপভোগ করার ইচ্ছে মরে যায়।