সফলতা পেতে যোগ্য গড়ে তুলুন নিজেকে


নামিদামি প্রতিষ্ঠানে উঁচু পদে চাকরি, আকর্ষণীয় বেতন কে না চায়। সব চাকরিপ্রার্থীর মধ্যেই থাকে এই স্বপ্ন পূরণের আশা। কিন্তু সবার স্বপ্ন তো আর পূরণ হয় না। গতানুগতিক নিয়োগ পদ্ধতিতে এই আকাক্সক্ষা পূরণের জন্য চাই উচ্চমানের পড়াশোনা আর দীর্ঘ কর্ম-অভিজ্ঞতা।

তবে এ ব্যাপারে ভিন্ন কথা বলেছে ক্যারিয়ার বিষয়ক ওয়েবসাইট ‘মনস্টার ডটকম’। তাদের মতে, শুধু উচ্চশিক্ষা আর অভিজ্ঞতার মাপকাঠিতেই সব সময় পাবেন না উচ্চপদে চাকরি। পছন্দসই চাকরি পেতে হলে অন্য কিছু পদ্ধতিও অনুসরণ করতে হবে ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই, যেগুলো এগিয়ে রাখবে আপনাকে। চলুন দেখে নেওয়া যাক, কী সেই সফলতার চাবিকাঠি।

জানুন-শিখুন সবকিছু: জানার কোনো শেষ নেই। তাই প্রতিনিয়ত নিজেকে নতুন কিছু জানার কাজে নিয়োজিত রাখতে হবে। কাজ করছেন কোনো ছোট পদে? নিজের কর্মপরিসরের মধ্যে থেকেই নিজেকে মুখোমুখি করুন বিভিন্ন ঝুঁকি আর চ্যালেঞ্জের। এগুলো একজন প্রার্থীকে প্রাতিষ্ঠানিক লক্ষ্য পূরণে সাহায্য তো করবেই, সেই সঙ্গে আত্মবিশ্বাসীও করে তুলবে। এই প্রাতিষ্ঠানিক সাফল্য আর আত্মবিশ্বাস চাকরিদাতাদের কাছে আপনাকে করে তুলবে অন্যদের থেকে আলাদা।

বাড়িয়ে নিন যোগাযোগ দক্ষতা: নিজ কাজে দক্ষ আপনি। তাহলেই কি পাবেন উচ্চপদের ভালো চাকরি? অবশ্যই না। কর্মদক্ষতার পাশাপাশি আপনাকে হতে হবে যোগাযোগে দক্ষ। যোগাযোগের ক্ষমতা কর্মীদের সঙ্গে আপনার সম্পর্ক মজবুত করার পাশাপাশি উচ্চপদে চাকরির ক্ষেত্রে আপনাকে এক ধাপ এগিয়ে দেবে।

কাজ করতে শিখুন দলগতভাবে: উচ্চপদে কাজ করতে হলে আপনাকে অবশ্যই ব্যবস্থাপনায় দক্ষ হতে হবে। দলগতভাবে কাজ ব্যবস্থাপনায় দক্ষতা বৃদ্ধি করে। তাই প্রথম থেকেই অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে দলগত কাজ করার অভ্যাস। দলের পাঁচজনকে নিয়ে কাজ করার অভিজ্ঞতা থেকে আপনি সঞ্চয় করতে পারেন ৫০০ জনের একটি প্রতিষ্ঠান নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা।

ধৈর্যই সাফল্য: উঁচু পদে চাকরির ক্ষেত্রে আপনাকে হতে হবে ধৈর্যশীল। ঘন ঘন চাকরি বদল কিন্তু ধৈর্যশীলতার লক্ষণ নয়। চাকরি বদলের অভ্যাস অনেক সময় চাকরিদাতাদের কাছে অপছন্দের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। পছন্দসই কোনো প্রতিষ্ঠানে চাকরি পেলে সেখানেই এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে নিজের ক্যারিয়ার। কোনো একটি প্রতিষ্ঠানে দীর্ঘ সময়ের সাফল্যের অভিজ্ঞতা অবশ্যই একজনকে এগিয়ে রাখবে।

নেটওয়ার্কিং: নেটওয়ার্কিংয়ের মাধ্যমে একজন প্রার্থী এগিয়ে থাকতে পারেন অনেকটাই। বর্তমানে নিয়োগের ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত বা পেশাগতভাবে চেনাজানাদের অনেকটাই অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। তাই নিজ চেষ্টায় এই চেনা-পরিচিতদের তালিকাটা একটু বাড়িয়ে নিতে হবে। এছাড়া বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে স্বেচ্ছাসেবকের কাজ, কনফারেন্সে অংশগ্রহণ এবং লেখালেখির মাধ্যমে বাড়িয়ে নেওয়া যেতে পারে পরিচিতির পরিসর।

আগে জানুন চাকরিদাতার আদ্যোপান্ত: সাক্ষাৎকার দেওয়ার আগে বাসায় বসে কিছুটা হোমওয়ার্ক করে নিন। যে প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতে চাইছেন, জেনে নিন প্রতিষ্ঠানটি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য। প্রতিষ্ঠানটি কেমন, তাদের রীতিনীতি, বিভিন্ন প্রথা এবং আদর্শ সম্পর্কে ভালো ধারণা নিয়েই যেতে হবে ইন্টারভিউ বোর্ডে। সাধারণত আজকাল এসব তথ্য ইন্টারনেটেই পাওয়া যায়। না পাওয়া গেলে এ ব্যাপারে সাহায্য করতে পারেন প্রতিষ্ঠানের কর্মরত কর্তাব্যক্তিরা।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url