নাভির নিচের পশম পরিষ্কার করার ক্ষেত্রে স্বামী-স্ত্রী কি একে অপরকে সাহায্য করতে পারবে? ইসলাম কি বলে?



হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের জীবনের সকল ক্ষেত্রেই রাহনুমা করে গেছেন। ঘরে ও বাইরে এমন কোন দিক নেই যা রাসূল (সা.) আমাদের সামনে তুলে ধরেননি। তার এই সামগ্রিক শিক্ষার তুলনা পৃথিবীর আর কোনো ধর্মেই ছিল না।

তিনি যেভাবে স্বামী-স্ত্রীর অধিকার স্পষ্ট করে তুলে ধরেছেন এবং পারিবারিক জীবনের প্রতিটি সমস্যার সমাধান আমাদের সামনে খোলাসা করেছেন। আর এটা কেউ আগে কখনো করেনি।

সেই ব্যপকতার একটি অংশ হলো নাভির নিচের পশম পরিষ্কার করার বিধান। কোনো কোনো বর্ণনায় নাভির নিচের লোশ মুণ্ডন করার কথা আবার কোনো কোনো বর্ণনায় লোহার তৈরি ধারলো কোন যন্ত্র দিয়ে পরিষ্কার করার কথা উদ্ধৃত হয়েছে। আর এটাই মুস্তাহাব। এতে উম্মতের কারও কোনো দ্বিমত নেই। (আল ইতহাফ)।

যদি এই ক্ষেত্রে স্বামী স্ত্রীকে সাহায্য করতে বলে তাহলে স্ত্রীর জন্য এটা ওয়াজিব বলে বিবেচিত হবে। (শরহে মুহায্যাব) এই ক্ষেত্রে ৪০ দিনের চেয়ে বেশি দেরি করা মাকরূহ। সর্বনিম্ন কোনো মেয়াদ নির্ধারিত নেই। বরং ব্যক্তির পশম বড় হওয়ার ওপরই এর বিধান নির্ভরশীল।

তাই এই ক্ষেত্রে এক একজনের এক এক ধরনের মেয়াদ হতে পারে। (শরহে মুহায্যাব)।
মূল উদ্দেশ্য হলো পরিচ্ছন্নতা- সেটা ক্ষুর দিয়ে হোক বা অন্য কিছু দিয়ে। (ফতওয়ায়ে আলমগিরী) এই ক্ষেত্রে নিজের কাজ নিজে করাই উত্তম। তবে স্বামী-স্ত্রী পরস্পরকে সাহায্য করতে পারে। তাও মাকরূহ মুক্ত নয় (শরহে মুহায্যাব)।

নাভির নিচের লোম পরিষ্কার করার সময় উপর দিক থেকে শুরু করা উত্তম। (ফতওয়ায়ে আলমগিরী)।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url