চিকন মানুষদের তুলনায় মোটা মানুষেরা সুন্দর মনের অধিকারী, বলছে গবেষণা !


অনেক বিরম্বনা, কখনো বা কারো তিক্ত কথা আবার কখনো কখনো কারো বাঁকা দৃষ্টির স্বীকার হন স্থুলকায় বা মোটা দেহের মানুষেরা। এই সকল বিষয়গুলি অনেক সময় তাদের মানসিক অবস্থার উপর বিরূপ প্রভাব ফেলে।

বলতে গেলে একরকম হীনমন্যতায় ভোগে তারা। কিন্তু গবেষকরা তাদের জন্য সুখবর নয়ে এসেছে। শুধু তাদের জন্যই নয়, যারা মোটা মানুষদের ছোট করে দেখে, তাদের জন্য এক প্রকার সুখবর।
গবেষকরা বলছেন, ছিপছিপে গড়নের মানুষের চাইতে স্থূলকায় মানুষের মনই বেশি সুন্দর। ছিপছিপে শরীরের পেছনে ছুটতে গিয়ে খাওয়াদাওয়া বাদ দিয়ে দেন অনেকেই। কেউ কেউ অসুস্থও হয়ে পড়েন অপুষ্টিতে। কিন্তু তবুও সমাজের চোখে ‘সুন্দর’ হয়ে ওঠার প্রতিযোগিতা চলতে থাকে।

কিন্তু জার্মান গবেষকরা সম্প্রতি একটি গবেষণা করে জানিয়েছেন যে অন্যদের তুলনায় স্থূলকায়রা অনেক বেশি সৎ এবং নমনীয় স্বভাবের হয়।
২০ জন স্থূলকায় মানুষ এবং ২০ জন ছিপছিপে গড়নের মানুষের ওপর গবেষণাটি চালানো হয়েছে। একটি খেলার আয়োজন করা হয়েছিলো তাদের জন্য যেখানে অর্থ প্রদানের প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল তাদেরকে। দেখা গেছে, অর্থের ব্যাপারে ছিপছিপে গড়নের মানুষরা সুষ্ঠু সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি। স্থূলকায়রাই অর্থের ব্যাপারে বেশি সৎ ছিলেন।

মেট্রো ইউকেতে প্রকাশিত এই গবেষণার গবেষকরা জানান অর্থ সম্পর্কিত সিদ্ধান্ত গ্রহণের এই খেলায় ওজন এবং শরীরের গ্লুকোজের পরিমাণ, দুটোই পরিমাপ করা হয়েছে।

স্বভাবেই পরিচয় মিলবে কোন নারী স্ত্রী হিসাবে ভাল
বিয়ের পূর্বে প্রত্যেক পুরুষেরই কিছু চাওয়া থাকে তার স্ত্রী কেমন স্বভাবের হবে।পুরুষদের পছন্দের তালিকায় প্রথম হয়তো ধীর স্থির শান্ত স্বাভাবের নারী রয়েছে।

গুছিয়ে কথা বলা, গুছিয়ে চলাফেরা করা এমন স্বভাবের নারীরা বেশিরভাগ পুরুষের মন কাড়ে। আর চঞ্চল স্বভাবের মেয়েদের পছন্দ করলেও জীবন সঙ্গী হিসেবে পেতে খুব একটা আগ্রহ থাকে না।
তবে মনোবিদরা দিয়েছেন ভিন্ন তথ্য। মনোবিদদের মতে যাদের আপাতপক্ষে দেখে খানিকটা ‘পাগলি’ বলে মনে হয় আসলে তারাই স্ত্রী হিসেবে সব চেয়ে ভালো হন।

অনেকটা চঞ্চল স্বভাবের নারী, যাদের কাণ্ডকারখানা আর পাঁচজনের চেয়ে খানিকটা আলাদা। তারাই ভালো স্ত্রী হন। এর পেছনে যথার্থ কারণ ব্যাখ্যা করেছেন মনোবিদরা।

নির্ভেজাল মানুষ: তারা যেমন, তেমনটাই সবার সামনে থাকেন। কোনো অভিনয় করেন না। যাকে একবার দেখেই বুঝবেন এর দোষ-গুণ কী কী রয়েছে। এরা নিজেদের দোষ ঢাকতে মিথ্যার আশ্রয় নেন না। মানুষ হিসাবেও খুব সৎ হন।

ন্যাকামি পছন্দ নয়: ট্রেকিংয়ে হোক বা ঘরোয়া পার্টি, এরা নারী হিসেবে কখনো আলাদা সুবিধা দাবি করেন না। যেখানে যেমন, সেখানে তেমন ভাবেই থাকতে পছন্দ করেন। তাই ঘুরতে বেরিয়ে বা ট্যুরে গিয়ে কখনো এদের নিয়ে সমস্যায় পড়বেন না।

অসাধারণ প্রেমিকা: আদর্শ প্রেমিকা বলতে যা বোঝায় এরা তাই। ভালোবাসার জন্য আলাদা কোনো দিনের প্রয়োজন হয় না। ইনি সঙ্গে থাকলে যে কোনো দিনই অন্যরকম ভালোলাগা এনে দেয়। বিয়ের পরে অনেকের ক্ষেত্রেই প্রেম-জীবন পানসে মনে হয়। কিন্তু এদের ক্ষেত্রে কথাটি একেবারে খাটে না।

সৃজনশীল: আসলে সৃজনশীল মস্তিষ্কের জন্যই এরা আর পাঁচজনের থেকে আলাদা হন।এদের জীবন খুব সৃজনশীল প্রকৃতির হয়ে থাকেন। আউট অফ দ্য বক্স ভাবতে এদের জুড়ি মেলা ভার।

সবসময় আগলে রাখে: এদের সামনে যদি স্বামী বা কোনো প্রিয়জনকে কেউ অপমান করেন, তবে আর রক্ষে নেই। যতক্ষণ না অপমানকারীকে মাথা নত করাচ্ছেন, ততক্ষণ খান্ত হন না। এনার্জিতে ভরপুর: এরা খুব অনুপ্রেরণাদায়ক প্রকৃতির হয়। শুধু নিজেরাই নন, এদের সঙ্গে যারা থাকেন তারাও সানিধ্যের গুণে অনুপ্রাণিত হয়ে উঠবেন।

হারতে জানেন না: এদের মনের জোর এতটাই বেশি হয়, যে এরা হার মানতে জানেন না। অনেকেই যে পরিস্থিতিতে হাল ছেড়ে দেয়, সেখানে এরা সে পরিস্থিতিতে লড়াই চালিয়ে যান। যতক্ষণ না জিতে যাচ্ছেন। নিঃসন্দেহে বলা যায়, এ রকম জীবন সঙ্গিনী পাওয়া ভাগ্যের বিষয়।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url